তুলসী পাতা চূর্ণ(Holy Basil)
তুলসী একটি ঔষধি গাছ। তুলসী কথার অর্থ হল যার কোনও তুলনা হয় না। ইংরেজিতে একে “Holy Basil“ বলা হয়ে থাকে। সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগার ঔষধ হিসাবে তুলসী পাতার গুনাগুণ প্রচুর। হিন্দু ধর্মালম্বিগন অনেকেই তুলসী গাছকে ভক্তি করে থাকেন তবে তুলসী পাতা শুধুমাত্র পুজো-পার্বণেই ব্যবহার যোগ্য তা কিন্তু নয় বরং ভেষজের চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে অ্যাখা দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশরা যখন ভারতে পা রাখে তখন মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে তুলসীর শরণাপন্ন হয়। তারা বাংলোর চারদিকে তুলসী ও নিমের গাছ লাগিয়ে নিল। ব্রিটিশদের বিস্ময়ে পরিণত হয় তুলসী গাছ। তারা একে বলত ‘মসকিউটো প্লান্ট’।
তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধের সক্ষম। অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে এর পাতার ভূমিকা দারুন। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, তুলসি গাছের পাতা শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। নিচে বিস্তারিত গুণাগুন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন তা আলোচনা করা হল।
তুলসী পাতা চূর্ণের কার্যকারিতা ও ব্যবহারঃ
• সর্দি ও ঠাণ্ডা লাগা কমায়ঃ
সর্দি ও ঠাণ্ডা লাগার থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে তুলসী পাতার গুণাগুণ অপরিসীম। প্রতিদিন ১ চামচ তুলসী পাতা চূর্ণ সর্দি, কাশী থেকে রেহাই দেবে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল পদার্থটি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে।
• ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া জ্বরঃ
তুলসী অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। এটি শরীরকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচায়। তুলসী পাতা জ্বরের জন্য উপকারী সেটা তো আমরা শুনেই থাকি কিন্তু আপনি জানেন কী ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া জ্বরের জন্য খুব উপকার। তুলসী পাতা চূর্ণ সেদ্ধ করা জল এই ভাইরাসের হাত থেকে দূরে রাখে।
• এলার্জী সারাতেঃ
এলার্জী সারাতে তুলসী পাতার গুণাগুণ অনেক। পাতার চূর্ণ পানিত মিশিয়ে এবং সমপরিমাণ দূর্বাঘাসের রস এবং কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
• হাঁপানি ও কাশি থেকে রেহাইঃ
তুলসী পাতার চূর্ণ ও সমপরিমাণ আদার রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেলে এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
• ব্রণ দূর করেঃ
তুলসী পাতায় রয়েছে আয়ুর্বেদিক গুন। ব্রণর সমস্যা কমাতে পাতার চূর্ণ সামান্য পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন এবং তা ব্রণ আক্রান্ত অংশে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
• ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
ক্যান্সার প্রতিরোধের একটি অন্যতম উপদান হল তুলসী পাতা। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত তুলসী পাতা খেয়ে থাকেন তাদের ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ার সম্ভবনা কম থাকে। এর মধ্যে যে ফাইটোক্যামিকাল রয়েছে তা লিভার ও স্কিন ক্যান্সার রোধ করে।
• স্ট্রেস কমায়ঃ
শরীরে অ্যান্টি-স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে তুলসি পাতা দারুন কাজে দেয়। ফলে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। আসলে তুলসি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি স্ট্রেস এজেন্ট রয়েছে, যা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদানের শক্তি কমতে থাকে, সেই সঙ্গে কমতে শুরু করে স্ট্রেসও।
• কিডনির পাথরঃ
তুলসি পতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কমায়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন যদি মধু দিয়ে তৈরি চুলসি পাতার চূর্ণ খাওয়া যায়, তাহলে কিডনির পাথর গলে তো যায়ই, সেই সঙ্গে শরীর থেকে তা বেরিয়েও যায়। প্রসঙ্গত, তুলসি পাতায় যে ডিটক্সিফাইং এজেন্ট রয়েছে তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে দেয় না। ফেল কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
• ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করেঃ
তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টিডায়াবেটিক গুনাগুণ যা ডায়াবেটিস রোধে সক্ষম। ডায়াবেটিসের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে নিয়মিত তুলসী পাতার চূর্ণ খেতেই পারেন।
• ত্বকের সমস্যা দূর করেঃ
ত্বকের জন্য তুলসী পাতা খুবই উপকারী। তুলসী পাতার চূর্ণ সামান্য পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে তা পুরো মুখে লাগলে ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়ে ওঠে।
• হার্টের রোগের সমস্যা থেকে মুক্তিঃ
তুলসী পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো আছেই তার সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন সি যা হার্টের অসুখ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। হার্টের রোগের সমস্যায় যারা ভুগচ্ছেন, রোজ এই পাতার চূর্ণ খেতে পারেন।
• দাঁতের মাড়ির সমস্যা দূর করেঃ
অধিকাংশ মানুষ দাঁতের মাড়ির সমস্যায় ভোগেন। দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না থাকার ফলে ব্যাকটেরিয়া জমা হয়। ফলে নানা সমস্যা দেখা যায়। মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করতে তুলসী পাতার গুণাগুণ প্রবল। এছাড়া তুলসী দাঁত হলুদ হয়ে যাবার থেকে বাঁচায়। মুখে দুর্গন্ধ হতে দেয় তো না সঙ্গে মাড়িকেও ভালো রাখে। সকল সমস্যার মুশকিল আসান করতে রোজ তুলসী চূর্ণ দিয়ে চা খান।
••• তুলসী চূর্ণ দিয়ে স্বাস্থ্যকর ও মজাদার চা রেসিপিঃ
১) আধা চামচ আদা কুচি, এক চামচ তুলসী পাতা চূর্ণ এবং এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ এলাচ গুঁড়ো তিন কাপ পানিতে ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। সামান্য মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে উপভোগ করুন তুলসীর চা। এছাড়া আপনার মত করেও তৈরী করে নিতে পারেন বিভিন্ন রকম চা।
২) এক চামচ তুলসী পাতা এক গ্লাস পানিতে দিয়ে ওই পানি ফুটিয়ে আধাগ্লাস থাকতে নামিয়ে নিতে হবে। এবার থেকে রং চা এর মত ব্যবহার করা যাবে। তবে এর সাথে দুধ মেশানো যাবে না।
• সাধারণ ব্যবহারঃ
১) এক চামচ পাউডার সকালে ও এক চা চামচ পাউডার রাতে, চাইলে সরাসরি খাওয়া যাবে অথবা পানিতে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে শুধু পানি পান করা যাবে।
২) কাশির রোগীদের ক্ষেত্রে এক কাপ গরম পানির মধ্যে ১ চা চামচ তুলসী পাতা চূর্ণ সাথে ১ চা চামচ মধু দিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।
.
ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক এর সরাসরি নিজের তত্ত্বাবধানে হার্বস/ঔষধি ভেষজ থেকে সঠিক নিয়মে চুর্ন / পাউডার করা হয়েছে। FH SHOP তুলসী পাতা চূর্ণে কোনো কেমিকেল বা সাধারন পির্জাভেটিব ও ব্যবহার করা হয়নি ।
.
১০০% খাঁটি হার্বস ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিন, ঢাকার মধ্যে হোম ডেলিভারির সুযোগ এবং ঢাকার বাহিরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পন্য ডেলিভারি দেওয়া হয় ।
.
আমাদের কাষ্টমার কেয়ারও পরিচালিত হয় কোয়ালিফাইড ভেষজবিদ/আয়ুর্বেদ/ইউনানী চিকিৎসক এর তত্ত্বাবধানে ।
.
FH SHOP এর ফেসবুক পেইজ লিংক – https://www.facebook.com/fhshopbd/
FH SHOP এর কাস্টমার কেয়ার নাম্বার – 01771 50 32 14
১৫০ গ্রাম 140 টাকা ।
arifur rahman (verified owner) –
Order two tulsi from FH Shop. they are looks good. Thank you for your help.
Faijul Huq –
Thank you so much!